হাসি
ধরো তুমি ফরাসি দেশের একজন লোককে একটা মজার গল্প শোনালে। সে কবার হাসবে জান?—তিন বার। যখন তুমি গল্পটা বলবে তখন প্রথম বার, তারপর যখন তুমি মজাটা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেবে তখন দ্বিতীয় বার, আর শেষ পর্যন্ত যখন গল্পের মজাটা তার মাথায় ঢুকবে তখন তৃতীয় বার।
ইংরেজ কাউকে একটা মজার গল্প বললে সে কবার হাসবে জান?—দু-বার। যখন গল্পটা বলবে তুমি, তখন প্রথম বার, তারপর যখন ব্যাখ্যা করে দেবে, তখন দ্বিতীয় বার। কিন্তু মজাটা মাথায় তার ঢুকবেই না, কেননা মাথা নিরেট, তাই তৃতীয় বারের হাসিটি আর হবে না।
জার্মানির কোনো লোককে যদি মজার গল্প বল একটা, তাহলে সে কবার হাসবে জান?—এক বার, যখন গল্পটা বলবে সেই সময়ে। গল্পটা তুমি যে তাকে বুঝিয়ে দেবে তা হবে না, কেননা তাতে তার আত্মসম্মানে বাধবে। আর নিজে থেকে যে গল্পের মজাটা সে বুঝবে, সে আশাও কোরো না, কেননা রসবোধ বস্তুটাই তার কাছ থেকে আশা করা অনুচিত।
আর যদি কোনো বাঙালিকে একটা মজার গল্প শোনাতে যাও ? না, সে হাসবে না। হাসার সময়ই হবে না তার। তোমার গল্পটা শুরু হতে না হতেই সে তোমাকে থামিয়ে দেবে। বলবে, গল্পটা তার আগেই শোনা, এবং তুমি যে গল্পটা তেমন রসিয়ে বলতে পারছ না, সে কথাটাও তোমাকে স্পষ্টাস্পষ্টি জানিয়ে দেবে। শেষ পর্যন্ত সে বলবে, “নাঃ, দেখো, এই গল্পটা বলতে হয় এই এমনি করে . . .' বলে, নিজেই গল্প বলতে থাকবে।
0 Comments