গোলাপের নাম
উমবের্তো একো
ভাষান্তর জি এইচ হাবীব
উইলিয়াম উইভারকৃত ইংরেজী অনুবাদ থেকে
অলংকরণ নীল প্যাকার
মধ্যযুগের অন্তিম পর্ব। ১৩২৭ খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ইতালির একটি সম্পন্ন বেনেডিক্টীয় মঠে মধ্যবয়স্ক ফ্রান্সিসকান সন্ন্যাসী বাস্কারভিলের উইলিয়াম তাঁর সঙ্গী বেনেডিক্টীয় শিক্ষানবিশ আদ্সোকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, যীশুখৃষ্টের দারিদ্র্য বিষয়ক একটি বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য। তাঁরা মঠে পৌঁছে দেখেন সেখানে এক সন্ন্যাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। উইলিয়ামের ওপর এই মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পড়ে। দেখতে দেখতে, সাত দিনের মধ্যে, বীভৎস এবং আশ্চর্যজনকভাবে খুন হয় ছয়জন সন্ন্যাসী। উইলিয়াম যেভাবে এসব হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন তা একদিকে যেমন অত্যন্ত আকর্ষণীয়, অন্যদিকে অনুপম চিন্তা-উদ্রেককারী। কিন্তু উপন্যাসটি নেহাত একটি গোয়েন্দা কাহিনী নয়; হুডানিট-এর কাঠামোতে লেখক বাইবেলের বিশ্লেষণ, মধ্যযুগীয় দর্শন, সাহিত্য, নন্দনতত্ত্ব এবং সাহিত্যতত্ত্বের সঙ্গে প্রতীকতত্ত্ব তথা সেমিওটিক্সের সমন্বয় ঘটিয়ে গ্রন্থটিকে এক অসামান্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন, যে-কারণে একটি রহস্য কাহিনী হওয়ার পরেও এটি বার বার পড়া যায়, এবং প্রতিবারই পাঠক নতুন চিন্তার খোরাক পান, উপলব্ধি করেন যে চল্লিশ বছর আগে লেখা বইটি আমাদের এই সময়েও খুবই প্রাসঙ্গিক। এবং বেশ জোরের সঙ্গেই বলা যায় এই প্রাসঙ্গিকতা সহজে ক্ষুন্ন হবার নয়।
ইতালীয় ভাষায় লেখা, উমবের্তো একোর ইতিহাস আশ্রিত এই বিপুলায়তন ‘রহস্যকাহিনী' Il nome della rosa (১৯৮০), সেটার উইলিয়াম উইভারকৃত ইংরেজি অনুবাদ The Name of the Rose (১৯৮৩), এবং উপন্যাসটিকে ভিত্তি ক’রে জাঁ-জাক আনু পরিচালিত, প্রখ্যাত অভিনেতা শন কনারি অভিনীত, ও ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি লেখককে অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বিপুল খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
Il nome della rosa তথা গোলাপের নাম ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর নানান ভাষায় অনুবাদসহ পাঁচ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।
প্রকাশকঃ বাতিঘর, ঢাকা
মূল্যঃ ৳ ১৩৪৭.০০
0 Comments